Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেলে ৭ জনের মৃত্যু – Pratidin Sangbad

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেলে ৭ জনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। জেলায় সর্বশেষ রোববার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে একদিনে আরো ১০৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি জুলাই মাসের প্রথম তিনদিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯৬, ৯৫ ও ১১২ জন। অর্থাৎ চারদিনেই মোট ৪১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রোববার (৪ জুলাই) সকাল থেকে সোমবার (৫ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত সময়ে জেলার করোনা চিকিৎসার জন্য একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন করোনা পজেটিভ এবং চারজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

মারা যাওয়া ৭ রোগীর মধ্যে দুইজন পাকুন্দিয়া উপজেলার, দুইজন তাড়াইল উপজেলার, একজন কটিয়াদী উপজেলার, একজন করিমগঞ্জ উপজেলার এবং একজন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার। তারা হলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার রহিমা আক্তার (৭৩) ও তাহের উদ্দিন (৬৫), তাড়াইল উপজেলার কাঞ্চন (৩৭) ও সোমা আক্তার (২৮), কটিয়াদী উপজেলার ফরিদা বেগম (৬০), করিমগঞ্জ উপজেলার চম্পা (৪০) ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সফর আলী (৮৫)। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি রয়েছে। সোমবার (৫ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ১৩০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদিকে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য জরুরী ভিত্তিতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে আরো ১০০টি শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত ন্সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা রয়েছে। তাই কোন রোগীকেই এখান থেকে ফেরত যেতে হবে না।